দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার 6নং জোতবানী ইউনিয়নের জলবায়ু অপেক্ষাকৃত শুষ্ক এবং চরমভাবাপন্ন। বাংলাদেশের অন্যান্যস্থানের তুলনায় দিনাজপুরের এ অঞ্চলে শীতকাল দীর্ঘস্থায়ী হয়। অক্টোবর মাসের শেষ দিকথেকে একটু একটু শীত শুরু হয় এবং ফেব্রয়ারি মাসের শেষ পর্যন্ত স্থায়ী হয়ে থাকে। গ্রীষ্মকাল মার্চ মাসের প্রথম থেকে শুরু হয় এবং জুন মাসের প্রথম পর্যন্তস্থায়ী হয়। মৌসুমি বায়ু জুন মাসের মধ্যে শুরু হয়ে যায়। এপ্রিল ও মে মাসে ঝড়ও শীলাবৃষ্টি হতে দেখা যায়। বছরের অন্যান্য মাসের তুলনায় জুলাই মাস থেকেসেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বৃষ্টিপাত বেশি হয়। বড় কোনোনদ-নদী নেই বলে বন্যার কোনো তান্ডব বিপর্যস্ত ঘটে না এর জনজীবনকে। ঘূর্ণিঝড় ওজলোচ্ছ্বাসের বিধ্বংসী রূপ চোখে পড়ে না। নদীর ভাঙ্গনে গ্রাম ও লোকালয়বিলীন হওয়ার আশঙ্কা নেই এখানে। অর্থাৎপ্রাকৃতিক দুর্যোগমুক্ত এক অনুকূলপরিবেশ রয়েছে এই জনপদটিতে। তাই আবহাওয়ার বৈরিতায় নয়, বরং আনুকূল্যেই এখানে মানুষের জীবন খুঁজে পায় নির্ভরতার অবলম্বন। নিশ্চিন্তে বসবাসের যে নিভৃতঠিকানাটির জন্য মানুষের রয়েছে আকুলতা তারই সন্ধান মেলে এই 6নং জোতবানী ইউনিয়নে। এখানে বৃষ্টিপাত যা হয় তা মোটামুটি স্বাভাবিক। মাঝে-মধ্যে বৃষ্টিহীনতার কারণে খরার প্রকোপ দেখা দিলেও তা খুব একটা স্থায়ী হয় না। আবার অতিবর্ষণ হলেঅতিরিক্ত পানি এর বেলে ও বেলে-দোআঁশ মাটি সহজেই শুষে নিতে সক্ষম হয়। এখানেগ্রীষ্মকালে যে গরম ও তাপ হয় তা সহনীয় মাত্রার। তবে শীতকালে অপেক্ষাকৃত বেশি শীত অনুভুত হয়। এ ছাড়া জোতবানী ইউনিয়নের আবহাওয়ায় নেই কোনো চরমভাব। সবকিছুই সহনীয়, নরম ও রমণীয়।এক কথায় জনজীবনের জন্য এক অন্যন্য স্থান হলো আমাদের এই জোতবানী।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস